সর্বশেষ

সংবিধান এবং নির্বাচনি ব্যবস্থা কারও খেয়াল-খুশিতে চলে না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ :


/ ওবায়দুল কাদের /ফাইল ছবি

২৪খবরবিডি: 'সংবিধান এবং নির্বাচনি ব্যবস্থা ব্যক্তি বিশেষের খেয়াল-খুশি মতো চলে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশের পন্থা অনুসরণ করেই নির্বাচনী ব্যবস্থা নির্ধারণ করা হয়েছে। 'শনিবার (৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।'
 

'সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে 'বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে এই বিবৃতি দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, 'বাংলাদেশের স্বৈরতান্ত্রিক জিয়াউর রহমান ও এরশাদ নিজেদের স্বার্থে দখলকৃত ক্ষমতাকে সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়ার জন্য সংবিধান সংশোধন করেছিল। সংবিধানের সেই সব সংশোধনী দেশের উচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করেছে। এখন সেই জায়গায় ফিরে যাওয়ার আর কোনও সুযোগ নেই।' এখন যারা সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে, তারা একটি অগণতান্ত্রিক এবং অনির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা দেখতে চায় বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন, 'আর এই অনির্বাচিত ও অগণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চায় বলেই বিএনপি নেতারা নির্বাচনি ব্যবস্থা এবং সংবিধান নিয়ে তাদের অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক ও বেআইনি বক্তব্য প্রদান করছে, আর জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে।' তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সবসময় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থা প্রত্যাশা করে।'


'শেখ হাসিনা সবসময় নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়ে আসছেন উল্লেখ করে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও ফাঁকা মাঠে মাঠে গোল দিতে চায় না। আওয়ামী লীগ চায় দেশের সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুক। পাশাপাশি ভোটের রায় গ্রহণ করার মানসিকতা গড়ে তুলুক।'

সংবিধান এবং নির্বাচনি ব্যবস্থা কারও খেয়াল-খুশিতে চলে না: ওবায়দুল কাদের

ভোটের রায় পক্ষে না গেলে নির্বাচনি ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মানসিকতা পরিহার করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বিএনপি তো হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না, আর করলেও তারা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে অংশগ্রহণ করে। বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশ্যই যদি এমন হয়, তাহলে তো কখনওই গণতন্ত্র টেকসই হবে না।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত